May 16, 2024
#বিবিধ

পাঁচ কালিমা মুখস্থের বিষয়ে ভ্রান্তি

প্রশ্ন: দেশের মানুষের কথা হল, পাঁচ কালিমা মুখস্থ রাখতেই হবে এবং প্রতিদিন পরতে হবে। অন্যথায় ঈমানের জোর কমে যাবে বা মুসলমান থাকা যাবে না! আমরা কমবেশি সবাই এই পাঁচ কালিমা মুখস্থ করেছি। কিন্তু আসলে কি কালিমা ৫টি? এ বিষয় টি জানালে উপকৃত হবো ইনশাল্লাহ।

উত্তরঃ মানুষের মুক্তি ও সাফল্যের জন্য কালিমায়ে তাইয়েবা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই) এই একটি কালিমার স্বীকৃতি প্রদান এবং তদনুযায়ী আমল করাই যথেষ্ট।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

« أَسْعَدُ النَّاسِ بِشَفَاعَتِى يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ، خَالِصًا مِنْ قَلْبِهِ أَوْ نَفْسِهِ »

কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত লাভে সেই ব্যক্তি সৌভাগ্য মণ্ডিত হবে, যে আন্তরিকভাবে বলবে: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ তথা আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই।

সহীহ বুখারী, অনুচ্ছেদ,হাদিসের প্রতি আগ্রহ,হাদীস নং ৯৯,শামেলা

আবদুল্লাহ বিন ওমার রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

“ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত: এই সাক্ষ্য দেয়া যে,আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা’বূদ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল…।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন:

«مَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَكَفَرَ بِمَا يُعْبَدُ مَنْ دُونِ اللهِ، حَرُمَ مَالُهُ، وَدَمُهُ، وَحِسَابُهُ عَلَى اللهِ»

যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তথা আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই’ এ কথার স্বীকৃতি দান করল এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য সব উপাস্যকে অস্বীকার করল, তার ধন-সম্পদ ও জীবন নিরাপদ হল এবং তার কৃতকর্মের হিসাব আল্লাহর উপর বর্তাল।

সহীহ মুসলিম:২৩

এছাড়াও অসংখ্য হাদীস রয়েছে যেগুলো থেকে প্রতীয়মান হয় যে, কালিমায় তাইয়েবার মধ্যেই মানবতার
সার্বিক মুক্তি ও কল্যাণ সন্নিহিত রয়েছে।

প্রচলিত পাঁচ কালিমা

আমাদের সমাজে প্রচলিত কালিমাগুলো হল,

  • ১. কালিমায়ে তাইয়েবা
  • ২. কালিমায়ে শাহাদাত
  • ৩. কালিমায়ে তাওহীদ
  • ৪. কালিমায়ে তামযীদ
  • ৫. কালিমায়ে রদ্দে কুফর

উক্ত কালিমাগুলোর মর্মার্থ সামগ্রিকভাবে সঠিক। কিন্তু হুবহু শব্দে সবগুলো বাক্য হাদীসে পাওয়া যায় না। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ সব কালিমার মধ্যে মূলত: তাইয়েবার ব্যাখ্যা প্রস্ফুটিত হয়েছে। সুতরাং সেগুলোও পাঠ করায় দোষ নেই। কিন্তু ওগুলো না পড়লে বা মুখস্থ না করলে মুসলিম থাকা যাবে না-এ কথা ঠিক নয়।

আরও পড়ুনঃ কুরআন কি আল্লাহর সৃষ্টি?

আল্লাহু আলাম।

উত্তর প্রদানেঃ
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।


কুরআন কি আল্লাহর সৃষ্টি?

Exit mobile version