উত্তরঃ আজানের সময় উত্তম হল, মনোযোগ সহকারে আজান শোনা এবং আজানের জবাব দেয়া। কেননা এটি অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ কাজ। তবে যদি বিশেষ প্রয়োজনে কথা বলার দরকার হয় তাহলে এতে কোনও আপত্তি নেই।
সুতরাং আজানের সময়ে দরকারি কথা বলা, হাঁচির জবাব দেওয়া, সালামের উত্তর দেওয়া বা বিশেষ কোনো কাজ করা ইত্যাদি জায়েজ আছে ইনশাআল্লাহ।
আজানের সময় অন্য কথা বলার দলিলঃ
আজানের সময় আযানের জবাব ছাড়াও অন্য কথা বলা জায়েজ হওয়ার পক্ষে এ হাদিসটি প্রযোজ্যঃ
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يُغِيرُ إِلاَّ عِنْدَ صَلاَةِ الْفَجْرِ فَإِنْ سَمِعَ أَذَانًا أَمْسَكَ وَإِلاَّ أَغَارَ فَاسْتَمَعَ ذَاتَ يَوْمٍ فَسَمِعَ رَجُلاً يَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ . فَقَالَ ” عَلَى الْفِطْرَةِ ” . فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ . فَقَالَ ” خَرَجْتَ مِنَ النَّارِ
আনাস ইবনে মালিক রা. হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ফজরের সময়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (কোন জনপদে) নৈশ হামলা করতেন। তিনি আযান শুনলে হামলা হতে বিরত থাকতেন, অন্যথায় হামলা করতেন। একদিন তিনি কানকে সজাগ রাখলেন।
সহীহ, সহীহ আবু দাউদ (২৩৬৮), মুসলিম
তিনি একজন লোককে ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার’ বলতে শুনে বললেন: “ফিতরাতের (ইসলামের) উপর আছে।”
ঐ লোকটি আবার বলল: “আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই)।
তিনি বললেনঃ “তুমি জাহান্নাম হতে বেরিয়ে গেলে।”
আরও পড়ুনঃ ওজু ছাড়া আজান দেওয়া ও একটি কুসংস্কার
আজান সম্পর্কিত আরও একটি লেখাঃ একামত এর সময় মুয়াজ্জিনের অবস্থান
আল্লাহু আলাম।
উত্তর প্রদানেঃ
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।