প্রশ্নঃ রামাযান মাসকে কুর’আন নাজিলের মাস বলা হয় কেন? এই মাসের বাইরে কি কুর’আন নাজিল হয় নি?
উত্তরঃ রমাযান মাসকে কুর’আন নাজিলের মাস বলা হয়। এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই। তবে এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে যে কেন রমাযান মাসকে কুর’আন নাজিলের মাস বলা হয়, যেখানে অন্যান্য মাসেও কুর’আনের আয়াত প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রথমে দেখি কুর’আন নাজিলের মাস বিষয়ে কুর’আনে কি আছে
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَىٰ وَالْفُرْقَانِ
সূরা বাকারা: ১৮৫
“রমযান মাস হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী।”
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা মাহে রামাযানকে কুরআন নাজিলের মাস হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এর ব্যাখ্যা কি?
এর ব্যাখ্যায় মুফসসিরগণ বলেন, দুটি কারণে রামাযান মাসকে কুরআন নাযিলের মাস বলা হয়। যথা:
❖ ক. আল্লাহ তাআলা রামাযান মাসের কদরের রাতে ৭ম আসমানে অবস্থিত লাওহে মাহফুয থেকে শেষ আসমানে অবস্থিত বাইতুল ইযযতে পূরো কুরআন অবতীর্ণ করেন। তারপর সেখান থেকে বিভিন্ন ঘটনা ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ী দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে ক্রমান্বয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট আল কুরআন অবর্তীণ হয়।
❖ খ. রামাযান মাসের কদরের রাতে মক্কার হেরা পর্বতে অবস্থানকালীন সময়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর কুরআন নাযিলের সূচনা হয়। এ সময় নাযিল হয় সূরা আলাক এর ১ম ৫টি আয়াত। তারপর দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে ক্রমান্বয়ে পূরো কুরআন নাজিল হয়। (তাফসীরে ইবনে কাসীর)
আরও পড়ুনঃ কুরআনের তিলাওয়াত শোনার ৮টি অনবদ্য উপকারিতা
আল্লাহু আলাম
▬▬▬▬▬▬▬▬
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।