Tag: কোথায় দোয়া করা যাবে

  • সালাতে রুকু-সিজদায় কুরআন তিলওয়াত

    সালাতে রুকু-সিজদায় কুরআন তিলওয়াত

    প্রশ্নঃ সেজদায় অনেকেই কুরআনের দোয়া এবং বাংলায় দোয়া পরার ব্যাপারে সম্মতি দেন আবার অনেকে দেন না। কোনটা করা ঠিক হবে?

    উত্তরঃ সিজদা ও রুকু অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করা জায়েয নয়। তবে কুরআনের দুয়াগুলো দুয়া হিসেবে পড়া যাবে। যেমন হাদীসে আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন,

    نَهَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَقْرَأَ رَاكِعًا أَوْ سَاجِدًا»
    “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে নিষেধ করেছেন, রুকূ এবং সিজদা অবস্থায় কুরআন পাঠ করতে।”

    নাসাঈ, হা/১১১৯-সহীহ

    ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন,

    أَلَا إِنِّي نُهِيتُ أَنْ أَقْرَأَ رَاكِعًا أَوْ سَاجِدًا، فَأَمَّا الرُّكُوعُ فَعَظِّمُوا فِيهِ الرَّبَّ، وَأَمَّا السُّجُودُ فَاجْتَهِدُوا فِي الدُّعَاءِ قَمِنٌ أَنْ يُسْتَجَابَ لَكُمْ
    “তোমরা শুনে রেখ ! আমাকে নিষেধ করা হয়েছে রুকু অবস্থায় কিরাআত থেকে এবং সিজদা অবস্থায়। রুকুতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা বর্ণনা কর। আর সিজদায় তোমরা দোয়া করতে চেষ্টা কর। তোমাদের জন্য দোয়া কবুল হওয়ার উপযুক্ত সময় এটাই।”

    সুনান নাসাঈ হ/১১২০-সহীহ

    রুকু-সিজদায় কুরআন তিলওয়াত জায়েজ নাই

    উপরোক্ত হাদীসগুলো থেকে জানা যায় যে, রুকু সিজদা অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করা জায়েয নাই্।
    তাই রুকু ও সেজদাহ অবস্থায় অধিক পরিমানে রুকু-সেজদার তাসবীহগুলো পাঠ করতে হবে।

    আর সেজদাহ অবস্থায় তাসবীহগুলো পাঠ করার পাশাপাশি হাদীসে বর্ণিত দুয়াগুলো পাঠ করার চেষ্টা করতে হবে। অনুরূপভাবে কুরআনে বর্ণিত দুয়াগুলো দুয়াগুলোও পড়া জায়েয রয়েছে। তবে তা পড়তে হবে দুয়ার নিয়তে; তেলাওয়াতের নিয়তে নয়।

    আর সেজদাহ অবস্থায় মাতৃভাষায় দুআর ব্যাপারে কথা হলঃ

    প্রথমত, চেষ্টা করতে হবে কুরআন ও হাদীসের দুয়াগুলো পাঠ করার। কেননা এগুলো ব্যাপকার্থ বোধক দুয়া। এ দুয়াগুলোতে মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ নিহীত রয়েছে। তারপর মহান আল্লাহর নিকট নিজের মত করে মাতৃভাষায় মনের আকুতি তুলে ধরবে। এতে কান আপত্তি নেই।

    বিশেষ করে নফল সালাতে্ এ সময় একাকি যথাসম্ভব লম্বা সেজদা দিয়ে নিজের ভাষায় মহান রবের নিকট নিজের সকল চাওয়া-পাওয়া তুলে ধরবে।

    সঠিক মতানুসারে এ ক্ষেত্রে ফরজ ও নফলে কোন পার্থক্য নেই। সেজদা অবস্থায় আরবীতে দুআ করা শর্ত করা হলে, অনারব মুসলিমরা আরবী ভাষায় দুআ না করার কারণে বিশাল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে।

    সেজদায় মাতৃভাষায় দোয়ার বিষয়ে আরও বিস্তারিত পড়ুন এখানে।

    আল্লাহু আলাম।

    ➖➖➖➖➖
    উত্তর প্রদানে:
    আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
    দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স, KSA