Tag: মেয়েদের সালাম

  • নন মাহরাম পুরুষ-নারী সালাম বিনময় করার বিধান

    নন মাহরাম পুরুষ-নারী সালাম বিনময় করার বিধান

    প্রশ্নঃ মহিলারা না কি নন মাহরাম পুরুষদেরকে সালাম দিতে পারবে না? আমার (মহিলা) ভাইয়ের বন্ধু আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসে আমার সামনে দিয়ে গমন করার সময় আমি কি তাকে সালাম দিতে পারি?

    উত্তরঃ সালাম দেয়া এবং সালামের উত্তর দেয়া ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এর মাধ্যমে পারষ্পারিক ভালবাসা, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং সুসম্পর্ক সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ উভয়েই নির্দেশিত।

    মহিলারা মহিলাদের মাঝে সালাম-মুসাফাহা করবে আর পুরুষ পুরুষদের মাঝে সালাম-মুসাফাহা করবে। অনুরূপভাবে বাবা, মা, ভাই, বোন ইত্যাদি মাহরাম পুরুষ-মহিলাদের মাঝে সালাম-মুসাফাহা বিনিময় করায় শরীয়তে কোন বাধা নেই।

    তবে নন মাহরাম পুরুষ বা মহিলাকে সালাম দেয়া বা তাদের সালামের জবাব দেয়ার বিধান স্বতন্ত্র।

    এ ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত কথা হলঃ
    ✪ কোন বৃদ্ধা মহিলাকে মুসাফাহা ছাড়া সালাম প্রদান করা বৈধ।
    ✪ আর যুবক-যুবতীদের মাঝে সালাম বিনিময় করা উচিৎ নয় যদি তাতে উভয়ে ফিতনায় পতিত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
    ✪ তবে ফেতনার সম্ভাবনা না থাকলে সালাম বিনিময়ে কোন অসুবিধা নেই ইনশাআল্লাহ।
    আসমা বিনতে ইয়াযিদ বলেনঃ

    مَرَّ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نِسْوَةٍ فَسَلَّمَ عَلَيْنَا
    “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কয়েকজন মহিলার নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদেরকে সালাম দিয়েছেন।”

    আবু দাউদ, সহীহ

    সহীহ বুখারীতেও বৃদ্ধ মহিলাকে সালাম দেয়ার হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

    ইবনে হাজার আসকালানী রহ. ফাতহুল বারী গ্রন্তে মহিলা পুরুষদের এবং পুরুষ মহিলাদের সালাম দেয়ার বৈধতার ব্যাপারে বলেন, এখানে বৈধতা দ্বারা উদ্দেশ্য হল, ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকা।

    সুতরাং যুবক-যুবতীদের মাঝে সালাম দেয়া বা সালামের জবাব দেয়ার ব্যাপারে সতর্কতা জরুরি। এতে ফেতনা সৃষ্টি হওয়া আশঙ্কা থাকলে বিরত থাকা অপরিহার্য।

    আল্লাহু আলাম।

    উত্তর প্রদানেঃ
    আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
    (লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব)
    দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব