বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক দেশেই ঘরে ঈদের সালাত পড়ার প্রয়োজনিয়তা দেখা দিয়েছে। এবং এটি যে বৈধ্য এ বিষয়েও ফতোয়া আছে। আমরা যেহেতু বছরে মাত্র দু’বার এই সালাত আদায় করি; অনেকেই ঈদের সালাতের নিয়ম মনে রাখতে পারি না। তাই নিচে ঈদের সালাতের নিয়ম বিস্তারিত দেওয়া হলো।

সতর্কতাঃ ঈদের দিন ঈদের সালাতের আগে অন্য কোন বাড়তি কোন সুন্নত বা নফল সালাত নেই

ঈদের সালাতের প্রথম রাকাতঃ

➜ সাধারণ সালাতের মত ‘আল্লাহু আকবার’ (তাকবীরে তাহরীমা) বলে বুকে হাত বাঁধবেন

➜ হাত বেঁধে সানা পড়বেন

➜ সানা শেষে অতিরিক্ত ৭টি তাকবীর দিবেন

➜ এবং এই সময় প্রতিবারই হাত কাঁধ বা কানের লতি বরাবর উঠাবেন (রাফউল ইয়াদাইন) ও হাত বুকে বাঁধবেন। (অর্থাৎ হাত ছেড়ে রাখবেন না প্রতি তাকবিরের মধ্যে)।

➜ এরপর সূরা ফাতিহার সাথে সূরা “আলা” বা সূরা “কাফ” অথবা অন্য যে কোন একটি সূরা বা সূরার অংশবিশেষ পড়বেন

➜ স্বাভাবিক রুকু ও সিজদার সাথে প্রথম রাকাত শেষ করবেন।

ঈদের সালাতের দ্বিতীয় রাকাতঃ

➜ প্রথম রাকাতের সিজদা থেকে উঠে দাড়ানোর পর আবারো অতিরিক্ত ৫টি তাকবীর দিবেন

➜ এবং এই সময় প্রতিবারই হাত কাঁধ বা কানের লতি বরাবর উঠাবেন (রাফউল ইয়াদাইন) ও হাত বুকে বাঁধবেন। (অর্থাৎ হাত ছেড়ে রাখবেন না প্রতি তাকবিরের মধ্যে)।

➜ এরপর সূরা ফাতিহার সাথে সূরা “কামার” বা “গাশিয়া” অথবা অন্য কোন একটি সূরা বা সূরার অংশবিশেষ পড়বেন

➜ স্বাভাবিক রুকু সিজদা এবং সবশেষে সালামের মাধ্যমে সালাত শেষ করবেন

আর কিছু বিষয়ঃ

✴ অতিরিক্ত তাকবীর সমূহ বলতে ভুলে গেলে বা গণনায় ভুল হলে তা পুনরায় বলা বা সাহু সিজদার প্রয়োজন নেই

✳ পরিবারের সকলে মিলে একসাথে জামাতে ঘরে ঈদের সালাত আদায় করুন ও

✳ ঘরে ঈদের সালাত আদায় করলে এতে কোন খুৎবা নেই

তথ্যসূত্র ইবনে মাজাহ ১২৭৭-১২৮১ এবং HadithBD.com

আরও পড়ুনঃ ঈদের সালাতে তাকবীর ৬টি না ১২টি?